আন্দোলন মোকাবিলায় মাঠেই থাকবে আ. লীগ

অক্টোবর ৬, ২০১৮
Spread the love

আয়না২৪ নিজস্ব প্রতিবেদক

এ বছরের শেষদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। শোনা যাচ্ছে যে, আগামি অক্টোবর মাসে তফসিল ঘোষণা করে ডিসেম্বরের শেষদিকে নির্বাচন করার পরিকল্পনা নির্বাচন কমিশনের রয়েছে। বিরোধী নেতাকর্মীদের দমনে ইতোমধ্যে প্রশাসনিক পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করে রেখেছেন সরকারের নীতিনির্ধারকেরা। তারই অংশ হিসেবে বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুরনো মামলাগুলো সক্রিয় করা হচ্ছে। সাথে যোগ করা হচ্ছে আরো নতুন নতুন ‘ভৌতিক ও আজগুবি’ মামলা। বিরোধীদের প্রশাসনিকভাবে দমনের পাশাপাশি রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

দলের একাধিক নীতিনির্ধারণী নেতা জানায়, ঢাকাসহ সারা দেশে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানায়ও একযোগে মিছিল-সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন দল। তবে আওয়ামী লীগের টার্গেট মহানগরগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা।

আগামী সোমবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা থেকে বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচির বিকল্প কর্মসূচি ঠিক করা হবে। ঈদের পর দলের কারা কিভাবে মাঠে থাকবেন সে সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে ওই সভা থেকে। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে মূলত আটঘাট বেঁধে মাঠে নামবে আওয়ামী লীগ দলীয় সূত্রে জানা যায়।

আওয়ামী লীগ ও সরকারের একাধিক সূত্র জানায়, সরকারের এ মেয়াদে হামলা, মামলা ও দমন পীড়নের মুখে সরকারবিরোধী বিএনপি জোট বড় ধরনের কোনো আন্দোলন করতে পারেনি। সরকারের মারমুখী অবস্থানের কারণে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কারাদণ্ড এবং চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জেল ও কারাবরণের পরও আন্দোলন করতে পারেনি সরকারবিরোধীরা। তবে এটিকে বিএনপির এক ধরনের রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে মনে করছে আওয়ামী লীগ। সরকারের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, বিএনপি জোট এখন সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে।

বিএনপির সূত্র বলছে, যেকোনো মূল্যে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে দলটির মধ্যে জোরালো অবস্থান আছে। তারা সরকারবিরোধী অন্য রাজনৈতিক দল নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি ও খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি।

প্রশাসনের একাধিক সূত্র জানায়, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারদের (এসপি) সদর দফতরে ডেকে ব্রিফ করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কাগজে-কলমে নানা ছক তৈরি হয়েছে।