অায়না২৪ প্রতিবেদন
১৯৯৪ সালের আনসার বিদ্রোহে অংশ নেয়ার অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়াদের মধ্যে যাদের বয়স ও শারীরিক সক্ষমতা আছে তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই রায় দেন। তবে যাদের চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে তারা যতদিন চাকরিতে ছিলেন ততদিনের পেনশন সুবিধা দিতে সরকারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আদালতে আনসার সদস্যদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাহাবুদ্দিন খান লার্জ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সূচীরা হোসাইন ও প্রতিকার চাকমা।
উল্লেখ্য,১৯৯৪ সালে আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন দাবি দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়; যা পরবর্তীতে বিদ্রোহের রূপ নেয়। পরে সেনাবাহিনী বিদ্রোহ দমন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পর কিছুসংখ্যক আনসার সদস্য পলাতক ছিলেন। এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের আলোকে বিদ্রোহে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৪৯৬ জন আনসার সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে মামলার অভিযোগ থেকে আনসার সদস্যরা খালাস পান।
২৪৯৬ আনসার সদস্যের মধ্যে আব্দুল করিম, ড্রাইভার শফিকসহ ১৪৪৭ জনকে চাকরিতে পুনর্বহাল ও প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটের শুনানি নিয়ে গত ২৫ এপ্রিল আনসার সদস্যদের চাকরিচ্যুত কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
রিটকারীদের আইনজীবী সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, হাইকোর্টের এই আদেশ শুধু রিটকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। তবে অন্যরা হাইকোর্টে আবেদন করে এই সুযোগ নিতে পারবেন।