আয়না২৪ প্রতিবেদন
আদালতের কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টির ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করায় পাঁচ আইনজীবীকে ক্ষমা করে দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে বেঞ্চ অফিসাররা অনৈতিকভাবে আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত কি না, সে বিষয়ে তদন্ত করতে সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্টার কার্যালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নবাগত আইনজীবীদের আচরণ শেখার বিশেষ পদক্ষেপ নিতে বার কাউন্সিলকে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১০ জুলাই আদালতের এজলাস কক্ষে ভাংচুর, বেঞ্চ কর্মকর্তাকে মারধর ও আদালতের কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টির ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা চান সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ আইনজীবী।
পাঁচ আইনজীবী হলেন- নূরে ই আলম উজ্জ্বল, লিজেন পাটোয়ারী, সুলতান মাহমুদ, মতিলাল বেপারি ও মোহাম্মদ আলী।
গত ১৯ জুন আদালতের এক আদেশে বলা হয়, ২৪ নম্বর কক্ষে (অ্যানেক্স) কিছু সংখ্যক আইনজীবী চিৎকার শুরু করে আদালতের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করেন।
তারা রফিকুল ইসলাম নামের এক বেঞ্চ কর্মকর্তার ওপর চড়াও হন ও মামলার নথিপত্র তছনছ করেন।
আইনজীবী মোহাম্মদ আলীসহ অন্য কিছু আইনজীবী ডায়াসের পাশে দাঁড়িয়ে এ সব কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দেন। এই অভিযোগে পাঁচ আইনজীবীর বিরুদ্ধে রুল জারি করে ২ জুলাই হাজিরের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।