আয়না২৪ প্রতিবেদন
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মালয়েশিয়ার এক নারীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এক মাস আগে স্বামীর সঙ্গে তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন। তার শ্বশুরবাড়ি ফরিদপুরে।
গত শুক্রবার রাতে স্বামীর সঙ্গে তার মালয়েশিয়া ফিরে যাওয়ার কথা। কিন্তু বিমানবন্দরে স্বামী তাকে ফেলে পাসপোর্টসহ অন্য কাগজপত্র নিয়ে উধাও হয়ে যান বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাসেম ভূঁইয়া বলেন, মালয়েশীয় নারীর নাম নূর সোহায়া (৪৬)। তিনি মালয় ভাষা ছাড়া অন্য কোনো ভাষা বলতে পারেন না। একজন দোভাষীর মাধ্যমে তার কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে পাঁচ বছর আগে ফরিদপুরের মো. বাবলু নামের মালয়েশিয়া প্রবাসী এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ফরিদপুর থেকে বাসে করে তারা শুক্রবার চট্টগ্রামে আসেন।
ওসি বলেন, গত শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে বিমানবন্দরে কাঁদছিলেন বিদেশি ওই নারী। এ সময় অভিবাসন পুলিশ তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে। কিন্তু ভাষার সমস্যা হওয়ায় পরে তাকে পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি নিয়ে মালয়েশিয়া দূতাবাসে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে ওই নারী বিমানবন্দরে এসেছিলেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে গতকাল রোববার মালয়েশীয় নারীকে একজন ভুক্তভোগী হিসেবে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করে পুলিশ। চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম এস এম মাসুদ পারভেজ তাকে হাটহাজারীর ফরহাদাবাদে নিরাপদ হেফাজতি কেন্দ্রে (সেফ হোম) পাঠানোর নির্দেশ দেন।একই সঙ্গে কেন, কীভাবে তিনি বাংলাদেশে এলেন এবং বাবলুকে খুঁজে বের করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন।