৮৩ নদী খনন হচ্ছে

নভেম্বর ৯, ২০১৭
Spread the love

 আয়না২৪ প্রতিবেদন

বাগেরহাট জেলার ৮৩টি নদী ও খাল পুনরায় খনন ও  মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্যতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ নিয়েছে  সরকার। এজন্য  ৫৩১ কোটি ৫৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। 

বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।

 অতিরিক্ত সচিব বলেন, বৈঠকে ‘বাগেরহাট জেলার ৮৩টি নদী-খাল পুনঃখনন এবং মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্যতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্রকল্পের ৮৩টি নদী-খালের ৩০৯ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার খনন  ও পুনঃখনন কাজ করা হবে।
রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে বাস্তবায়নের জন্য পিপিএ-২০০৬ এর ধারা ৬৮(১) অনুসারে সরকারি ক্রয় সম্পর্কিত বিশেষ বিধানের আলোকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির (ডিপিএম) মাধ্যমে বাস্তবায়নের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৫৩১ কোটি ৫৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। বাংলাদেশ নৌ বাহিনী প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

River

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জাইকার অর্থায়নে ‘মাতারবাড়ি কয়লানির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের (সওজ অংশ)’ ডিটেইল ডিজাইন এবং নির্মাণ কাজের তদারকিতে পরামর্শক সেবার জন্য অ্যাডেনডাম-১ অনুমোদন প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এ প্রকল্পে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা। প্রকল্পে অতিরিক্ত ৫ কোটি ৪৭ টাকার কাজ বেড়ে যাওয়ায় মোট ব্যয় দাঁড়াবে ৪৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের শতভাগ বিদ্যুতায়ন নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন জেলার জন্য ২ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ লাখ ৬৩ হাজার ৩৫৫টি বৈদ্যুতিক পোল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ২০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বিতরণ ব্যবস্থার ক্ষমতা বর্ধন, পুনর্বাসন ও নিবিড়করণের কনডাক্টর ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।