আয়না২৪ প্রতিবেদন
ভুয়া সনদে চাকরি গ্রহণের অভিযোগ চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় শুক্রবার সন্ধ্যায় মামলা দায়ের করেন জেলা পুলিশের এসআই শহিদুজ্জামান।
আসামিরা হলেন- কনস্টেবল নাসিমা খাতুন, কনস্টেবল রবিউল ইসলাম ও কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলম।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হক জানান, ২০১৩ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দামুড়হুদা উপজেলার বড় বলদিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে নাসিমা খাতুন ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্রে’ মুক্তিযোদ্ধা পোষ্য কোটায় কনস্টেবল পদে চাকরি নেন।
এছাড়া, ২০১৪ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চুয়াডাঙ্গা সদরের আসানন্দপুর গ্রামের তোফাজ্জেল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম এবং একই উপজেলার জলিবিলা গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র’ জমা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার পোষ্য কোটায় কনস্টেবলের চাকরি নেন বলে ওসি জানান।
ওসি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ভুয়া সনদে চাকরি গ্রহণের অভিযোগ পেয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশের পক্ষ থেকে গোপনে তদন্ত করা হয়। তদন্তে ভুয়া সনদের বিষয়টি প্রমাণিত হলে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের রিজার্ভ অফিসার এসআই শহিদুজ্জামান বাদী হয়ে এ তিনজনের নামে জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলা করেন। বর্তমানে ওই তিন কনস্টেবল চুয়াডাঙ্গা জেলার বাইরে অন্য জেলায় কর্মরত আছেন বলে জানান ওসি।
মামলার তিনি আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।