সম্রাট আকবর বিশ্বের সর্বকালের তৃতীয় সেরা ধনী!

জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
Spread the love

অনিন্দ্য আফরোজ

 মুঘল সম্রাট জালাল উদ্দীন মোহাম্মদ  আকবরকে বিশ্বের সর্বকালের তৃতীয়তম ধনী হিসেবে  স্থান দিয়েছে ‘মানি ম্যাগাজিন’।  ২০১৫ সালে  ম্যাগাজিনটি ধনীদের যে  তালিকা প্রকাশ করে তাতে সম্রাট আকবরকে  তিন নম্বরে স্থান দেওয়া হয়। যদিও অতীতের কোন বাদশা কত সম্পদের  অধিকারী ছিলেন তা নির্ণয় করা খুব কঠিন । এ জন্য মানি ম্যাগাজিনের এই  তালিকা নিয়ে বিতর্ক  আছে।

  ম্যাগাজিনটি অবশ্য দাবি করেছে, তারা বিভিন্ন  ইতিহাসবিদ,  অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ  নিয়ে এই তালিকা করেছেন। এতে  অতীতে অর্থনৈতিক চালচিত্র, ব্যক্তিগত সম্পত্তি, মুদ্রাস্ফীতি, জিডিপি কেমন ছিল সব জেনেই সর্বকালের সেরা ধনীকদের তালিকা তৈরি করেছেন। এসব  বিশ্লেষণেই সম্রাট আকবরের নাম উঠে এসেছে তিন নম্বরের ধনীক তালিকায়।

ম্যাগাজিনটি বলছে,  তৃতীয় মুঘল সম্রাট আকবর ওই  সময়ে বিশ্বের ২৫ ভাগ জিডিপির মালিক ছিলেন। প্রজাদের কাছে  থেকে কর আদায়ে বিশেষ  দক্ষতা  ছিল তাঁর। আকবরের শাসনামলে  তাঁর  দেশের জিডিপির তুলনা করা হয়েছে  ব্রিটিশ রাণী এলিজাবেথের  সঙ্গে। 

এছাড়া   তবে সর্বকালের ধনীদের তালিকায় প্রথমে স্থান পেয়েছেন  তিমবুক্তুর রাজা মানসা মুসা। এখনকার মালি নামে যে দেশটি সারাবিশ্বে পরিচিত সে দেশটিই একসময়  তিমবুক্তু নামে পরিচিত ছিল। ওই  সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সোনা উৎপাদন হতো তিমবুক্তুতে। অন্যদিকে   রোম সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা অগাস্টার সিজার রয়েছেন সর্বকালের দ্বিতীয় ধনীর তালিকায়। সিজার  ৪৬ লাখ কোটি ডলারের মালিক  ছিলেন।  মানি ম্যাগাজিনের সর্বকালের সেরা ধনীকদের তালিকায় সম্রাট আকবর, মানসা মুসা, সিজার ছাড়াও ধনীতমদের তালিকায়  আরও আছেন  মঙ্গোলিয়ার রাজা চেঞ্জিস খান  এবং চীনের সম্রাট শেনজং।

সম্রাট আকবরের শাসনামল

সম্রাট আকবর ভারতবর্ষের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক।পৃথিবীর ইতিহাসে মহান শাসকদের অন্যতম এই সম্রাটকে  মহামতি আকবর নামে পরিচিত। আকবর ছিলেন  মুঘল সাম্রাজ্যের তৃতীয় সম্রাট। তাঁর বাবা সম্রাট হুমায়ুনের মৃত্যুর পর ১৫৫৬ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে তিনি ভারত বর্ষের শাসনভার গ্রহণ করেন। বৈরাম খানের তত্ত্বাবধানে সম্রাট আকবর  সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় তাঁর  সাম্রাজ্য বিস্তার করতে থাকেন। ১৫৬০ সালে বৈরাম খাঁকে সরিয়ে আকবর নিজে সকল ক্ষমতা দখল করেন। এরপর আকবর ভারতবর্ষ ও আফগানিস্তানে তার সাম্রাজ্য বিস্তার করেন। ১৬০৫ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রায় সমস্ত উত্তর ভারত তার সাম্রাজ্যের অধীনে চলে আসে। তাঁর মৃত্যুর পর ছেলে  জাহাঙ্গীর ভারতবর্ষের শাসনভার গ্রহণ করেন।