আয়না২৪ ডেস্ক
সোমবার দেশের বিভিন্ন জেলায় বজ্রপাতে ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে ফরিদপুরে মা ও ছেলেসহ ৮ জন, মাগুরায় দুজন ও ঝালকাঠি, কুষ্টিয়া, মানিকগঞ্জ ও পটুয়াখালিতে একজন করে মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এর আগে গত বছরের ১৩ মে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রপাতে ৪৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল।
ফরিদপুরের চারস্থানে বজ্রপাতে মা ও ছেলেসহ ৮জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে পৃথক এ ঘটনা ঘটে। দুপুরে ১২টার দিকে জেলার সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের ভাবুকদিয়া গ্রামে বজ্রপাতে ঘরের বারান্দায় বসে থাকা মা হেলেনা আক্তার(৩৫) ও ছেলে হেলাল(১০) ঘটনাস্থলেই মারা যায়। স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ির পর হেলেনা তার ছেলেকে নিয়ে বাবা মৃত খবির মোল্লার বাড়িতে থাকত। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর ওই গ্রামের পাটখেতে কাজ করা অবস্থায় বজ্রপাতে মারা যায় ওই গ্রামের রহমান খানের ছেলে মিলন খান(৪৫)। সালথা থানার ওসি এ কে এম আমিনুল হক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের কবীরপুর খেয়াঘাটের টোল ঘরে আশ্রয় নেওয়া ওমর আলী(৪৫) নামে এক দিনমজুর বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ ছাড়াও জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার চরহরিরামপুর ইউনিয়নের ছমির বেপারীরডাঙ্গি(হাজার বিঘা) গ্রামে মাঠে কাজ করার সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বজ্রপাতে কাবিল বিশ্বাস (৪২) নামে এক দিনমজুর মারা যান। একই সময়ে সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের মল্লিকপুরে বজ্রপাতে মিরাজ হোসেন(২১) নামে এক দিনমজুর মারা গেছে।
বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে দুপুরে বজ্রপাতে মসজিদের ইমাম ও কৃষকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এরা হলেন- উপজেলার বাজিতপুর মোল্লাপাড়া জামে মসজিদের ইমাম আওয়াল ফকির (৪৮) এবং দুর্গাপুর গ্রামের কৃষক ফরহাদ মোল্লা(৩৫)।
এ নিয়ে গত দুইদিনে বজ্রপাতে ফরিদপুরে মোট ১৩ জন মারা গেছে। রোববার জেলার সদরপুরে একই পরিবারের তিন সদস্যসহ চারজন এবং সদর উপজেলায় এক দিনমজুর মারা যায়।
মাগুরায় পৃথক বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন মাগুরা সদর উপজেলার মঘি গ্রামের মৃত আব্দুল ওহেদ শেখের ছেলে আসাদ শেখ (৫০) ও একই উপজেলার নালিয়ারডাঙ্গি গ্রামের লিটু জোয়ার্দারের ছেলে কলম জোয়াদার (৪০)।
ঝালকাঠিতে বজ্রপাতে জাকির হোসেন (৫৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার খাদৈক্ষীরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জাহির ওই গ্রামের মৃত গেরছে আলী হাওলাদারের ছেলে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বজ্রপাতে বাদশা (১৮) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। সোমবার সকালে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ঠাকুরপাড়া গ্রামে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে বজ্রাহত হয়ে মাওলানা আবদুল কাদের গাজী (৪৫) নামের এক মাদ্রাসাশিক্ষক মারা গেছেন। তিনি দুমকির পশ্চিম আঙ্গারিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে বজ্রপাতে রহুল শেখ নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। বৃষ্টির সময় রহুল পাশের বাড়ি থেকে জাম্বুরা কুড়িয়ে নিজ বাড়ি ফিরছিল। এসময় তার উপর আকম্মিক বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।