নিজস্ব প্রতিবেদক
গভীর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে এটি আজ বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে। নিম্নচাপটির প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকার কোথাও কোথাও রাত সাড়ে ৯ টার পর ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। অনেক এলাকায় বৃষ্টিও হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টির যা গতিমুখ, তাতে এটি আজ রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে ভারতের উত্তর অন্ধ্র ও দক্ষিণ ওডিশা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আজ রাত থেকে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নৌযানগুলোকে সাগরে না যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রাবন্দর ও কক্সবাজারকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, গভীর নিম্নচাপটি আজ রাত ১০টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে এটি ভারতের অন্ধ্র ও ওডিশা উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশে আগামী দুই-তিন দিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, নিম্নচাপ কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ৪৮ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত রয়েছে, যা ঝোড়ো হাওয়ার বেগে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে সাগর উত্তাল রয়েছে। তবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলে যখন ঝড়-বৃষ্টির দাপট চলছে, তখন দেশের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে মৃদু দাবদাহ অব্যাহত আছে। আজও ভোলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গভীর নিম্নচাপটি আজ বেলা তিনটা পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে ৭৬৫ কিলোমিটার, মোংলা থেকে ৬২০ ও পায়রা থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। এর প্রভাবে বাতাসে বায়ুর চাপের তারতম্য দেখা দিয়েছে। বইছে ঝোড়ো হাওয়া।