আয়না২৪ আন্তর্জাতিক
পরীক্ষা সব সময়ই চাপের হয়ে থাকে। তাই যেকোনো উপায়েই এই তরী পার হতে চায় শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষার খাতায় কেবল প্রশ্নোত্তর নয়, আরও নানা ধরনের বিষয় লিখে থাকে লেখাপড়ায় অমনোযোগী কিছু শিক্ষার্থী।
ভারতের উত্তর প্রদেশে অনুষ্ঠিত এ বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় কিছু শিক্ষার্থী উত্তরের বদলে লিখেছে প্রেমপত্র। অনেকে আবার পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য শিক্ষকের প্রতি আকুতি জানিয়েছে। কেউ কেউ নম্বর দেওয়ার জন্য উত্তরপত্রে অর্থও সেঁটে দিয়েছে আবার। এসব খাতা দেখে রীতিমত চোখ কপালে উঠেছে শিক্ষকদের।
উত্তর প্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে পরীক্ষার প্রথমদিনে কেন্দ্রে যায়নি এক লাখ ৮০ হাজার। পরীক্ষায় নকল ঠেকাতে উত্তর প্রদেশ সরকারের এ পদক্ষেপের কারণে যাদের প্রস্তুতি কম ছিল তাদের কয়েকজন পাস করিয়ে দেয়ার অদ্ভুত আবদার করেন। এসময় পরীক্ষার খাতার মধ্যে তারা ৫০ থেকে ৫০০ রুপি পর্যন্ত গুজে দেন।
এমন ঘটনা ঘটেছে ফিরোজাবাদ জেলায়। পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেবার বিনিময়ে তারা টাকা দিয়েছেন। যদিও শিক্ষকরা সেগুলো গ্রহণ করেননি।
দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষায় নকল রুখতে প্রথম থেকেই আটঘাট বেঁধে নেমেছিল ভারতের উত্তরপ্রদেশ সরকার। পরীক্ষার হলে নকল রুখতে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল।
ফলে দেখা যায়, প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। এখানেই অবশ্য শেষ নয়। উত্তরপ্রদেশের অনেক শিক্ষকই পরীক্ষার খাতার মধ্যে টাকা পেয়েছিলেন। আরও পাওয়া যাচ্ছে প্রেমের বিভিন্ন কবিতা, পংক্তি ও বিভিন্ন মেয়েদের উদ্দেশ্য করে লেখা প্রেমপত্র।