• Home  / 
  • অপরাধ  / 

স্তন্যদায়ী দুই নারীকে ১৩ ঘণ্টা আটক রাখার অভিযোগে মাদারীপুরের ওসিসহ ২ জনকে তলব

মার্চ ২২, ২০১৭
Spread the love

আয়না২৪ ডেস্ক

শিশুদের বাড়িতে রেখে দুই নারীকে ১৩ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখায় মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল মোরশেদ ও এসআই মো. মাহতাবকে তলব করেছে উচ্চ আদালত। আগামী ২৯ মার্চ তাদেরকে স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
এছাড়া উক্ত ঘটনার তদন্ত করে আগামী ৯ মের মধ্যে পুলিশের আইজিকে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এছাড়া অমানবিকভাবে দুই নারীকে ১৩ ঘণ্টা আটকে রাখার ঘটনাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, মাদারীপুর পুলিশ সুপার, সদর থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্টদেরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
 
রিট আবেদনে বলা হয়, গত ১২ মার্চ মাদারীপুরের লক্ষীগঞ্জে বিরোধপূর্ণ একটি জমির তদন্তে গিয়েছিলেন সদর থানার এস আই মাহাতাব হোসেন। এ সময় তিনি ওই জমির পাশের বাড়ির খালেক বেপারীর ছেলে পনির হোসেনের কাছে মামলা সংক্রান্ত বিষয় জানতে চান। কিন্তু এ বিষয়ে পনির কিছু জানেন না বলার পর এসআই মাহাতাব ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে চড়-থাপ্পড় দেন। এনিয়ে দু’জনের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। বাক বিতণ্ডার এক পর্যায়ে সদর থানা থেকে তিন গাড়ি পুলিশ নিয়ে পনিরের বাড়িতে ব্যাপক তাণ্ডব চালান এস আই মাহতাব।
এরপর পনিরের স্ত্রী ঝুনু বেগম ও ভাবি আকলিমা বেগমকে টেনে-হিঁচড়ে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। ওই সময় পনিরের স্ত্রীর তিন মাসের শিশু এবং ভাবির ১৮ মাসের শিশুকে কোল থেকে নামিয়ে বাড়িতে রেখে যেতে বাধ্য করে পুলিশ। পরে রাত ১২টার দিকে তাদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে সাদা কাগজে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এ ঘটনাকে আইন বহির্ভূত উল্লেখ করে হাইকোর্টে এ রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রানা কাওসার। রিটে এ ঘটনায় প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিবেদন যুক্ত করে দেয়া হয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস শুনানি করেন। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে তলবের পাশাপাশি রুল জারি করে।
 
রানা কাওসার বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একজন সদস্য আইন বহির্ভূতভাবে দুধের বাচ্চাকে তার মার কাছ থেকে এভাবে দূরে রাখতে পারেন না। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। এটা মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং সংবিধান পরিপন্থি।