সীতাকুণ্ডে একটি জঙ্গি আস্তানা ঘিরে আছে পুলিশ

মার্চ ১৬, ২০১৭
Spread the love

আয়না২৪ ডেস্ক

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর এলাকার চৌধুরী পাড়ার প্রেমতলা এলাকায় ‘জঙ্গি আস্তানার’ সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছে পুলিশ। ছায়ানীড় নামের ওই বাড়িটি সোয়াত দল ও পুলিশ ঘিরে রেখেছে। ওই বাড়ির ভেতরে কতজন জঙ্গি ও বাসিন্দা আছেন তা এখনো জানা যায়নি। ঢাকা থেকে সোয়াতের আরেকটি দল রাত পৌনে ১ দিকে সেখানে পৌঁছেছে।

অন্যদিকে পৌর সদরের আমিরাবাদ এলাকার সাধন কুঠি নামের একটি বাড়ি থেকে শিশুপুত্রসহ ‘জঙ্গি’ দম্পতিকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে গ্রেনেড, বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও অস্ত্র উদ্ধার করা করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ডের পৌর সদরের আমিরাবাদ এলাকার সাধন কুঠি নামের একটি বাড়ির নিচতলা থেকে বুধবার বেলা তিনটার দিকে দু্ই জঙ্গিকে  আটক করা হয়। এর মধ্যে পুরুষ ব্যক্তিটি নিজেকে জসিম উদ্দিন নামে পরিচয় দিয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন। সঙ্গের নারীকে তাঁর স্ত্রী বলেছেন। স্ত্রীর নাম আরজিনা। তাঁদের সঙ্গে দু মাস বয়সী শিশুপুত্র রয়েছে। আরজিনার কোমরে বোমা বাঁধা ছিল।
বাড়ির মালিকের ভাষ্য, গত ৪ মার্চ জসিম তাঁর স্ত্রী ও দুই শ্যালক নিয়ে বাড়ি ভাড়া করতে আসেন। ভাড়া নেওয়ার পর জসিমের দুই শ্যালক চলে যান। ভাড়া দেওয়ার সময় জসিমের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি নেওয়া হয়। তবে ভাড়া নেওয়ার পর থেকে বাড়ির দরজা জানালা সব সময় বন্ধ রাখতেন জসিম। এ নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে তিনি (বাড়ির মালিক) ওই পরিচয়পত্র নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, এটা ভুয়া পরিচয়পত্র। পরে গত মঙ্গলবার রাতে জোর করে তিনি জসিমের বাসায় ঢুকে দেখতে পান, সেখানে প্রচুর তার, সার্কিট। এসব দিয়ে কী করা হয় জানতে চাইলে জসিম উত্তর দেন, তাঁরা সার্কিট বানানোর কাজ করেন।

বাড়ির মালিকের ভাষ্য, এরপর সেখান থেকে একটি সার্কিট নিয়ে আসেন। পরে তিনি সেটা পরিচিত এক বিদ্যুৎ মিস্ত্রিকে দেখান। মিস্ত্রি জানান, এটা টাইমার। এটা জানার পর গতকাল বুধবার সকালে তিনি পুলিশকে খবর দেন।
পুলিশ দাবি করেছে, বাসায় প্রবেশের চেষ্টা করার সময় তাদের বাধা দেন জসিম ও আর্জিনা। একপর্যায়ে পুলিশ জোর করে বাসায় প্রবেশ করলে আরজিনা  কোমরে হাত দিতে যান। সেটা দেখে বাড়িওয়ালা ও তাঁর স্ত্রী ওই নারীর দুই হাত শক্ত করে ধরে ফেলেন। পরে পুলিশ জসিম ও আরজিনার কোমর থেকে বোমা উদ্ধার করে।