আয়না২৪ প্রতিবেদন
সম্পদের তথ্য গোপন করার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামীলীগের সাবেক সাংসদ এইচ বি এম ইকবালের স্ত্রী মমতাজ বেগম, তাঁদের দুই ছেলে ও মেয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর তাদের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। ঢাকার এক নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আতাউর রহমান আজ বুধবার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
সাবেক সাংসদ ইকবাল ও তার স্ত্রী-ছেলেমেয়েকে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দুদকের মামলায় কারাদণ্ড দিয়েছিল জজ আদালত। উচ্চ আদালতে এর বিরুদ্ধে আপিল করার পর আদালত ইকবালকে খালাস দেয় এবং স্ত্রী-সন্তানদের রায় স্থগিত করেন।
কিন্তু আপিল বিভাগ গত বছর ইকবালের স্ত্রী-সন্তানদের আবেদন খারিজ করে দিলে ওই চারজনের সাজা বহাল থাকে।
এর চার মাস পর আজ বুধবার জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন ইকবালের স্ত্রী মমতাজ বেগম ডলি, ছেলে মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল ও মঈন ইকবাল এবং মেয়ে নওরীন ইকবাল।
আসামি পক্ষের আইনজীবী প্রাণনাথ জানান, শুনানি শেষে বিচারক জামিন নাকচ করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ।
এইচ বি এম ইকবাল প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান। তাঁর ছেলে ইমরান ইকবাল ওই ব্যাংকের একজন পরিচালক। আরেক ছেলে মঈন ইকবাল ও মেয়ে নওরীন ইকবালও একসময় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন।
বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ২৭ মে ইকবাল, তার স্ত্রী ও সন্তানদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যাবহারের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে এ মামলা করে দুদক।
পরের বছর ১১ মার্চ বিশেষ জজ আদালত এ মামলার রায়ে ইকবালকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের তিন বছর করে কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
ওই বছর ১৭ সেপ্টেম্বর ইকবালের ভাইয়ের আবেদনে উচ্চ আদালত এ মামলায় জজ আদালতের দেওয়া রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে ওই দণ্ড কেন বাতিল করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।