বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার বেতাগী উপজেলায় স্বামীকে আটকিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ছয় বখাটে যুবক কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পুলিশ প্রহরায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ বিষয় বেতাগী থানায় ৬ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয় ছটির পর ওই শিক্ষকের কর্মস্থলে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে , উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকা তাঁর স্বামী ভারতের পূর্ব মেদেনীপুর জেলার নন্দী গ্রামের বাসিন্দার সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় স্কুল ছুটির পর বিদ্যালয়ের বারান্দায় কথা বলছিল। ওই অবস্থা দেখে স্থানীয় কতিপয় যুবক সন্দেহ করে সেখানে জড়ো হয়। যুবকরা স্কুলের মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে শিক্ষিকা প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে তালা ভেঙে অন্তত ৬ যুবক ভেতরে ঢুকে তাঁর স্বামীকে এলোপাথারি মারধর করে তার পরিচয় জানতে চায়। শিক্ষিকার স্বামী পরিচয় দেওয়ার পরেও তাঁকে একটি কক্ষে আটকে রেখে অপর একটি কক্ষে শিক্ষিকাকে নিয়ে ওই যুবকেরা শিক্ষিকাকে উপুর্যপরি ধর্ষণ করে।
ঘটনার পর ওই শিক্ষক ও তাঁর স্বামী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। ঘটনা শুনে তিনি ( উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) বেতাগী থানা পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। স্বামীকে নিয়ে শিক্ষিকা থানায় গিয়ে নিজে বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেণ । আসামিরা হল, হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের সুমন বিশ্বাস (৩৫), রাসেল (২৪), সুমন কাজী(৩০), মো. রবিউল (১৮), হাসান (২৫) ও মো. জুয়েল (৩০)। ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ওই শিক্ষিকাকে পুলিশ প্রহরায় ওইদিন রাত সাড়ে ১০ টায় বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে ভর্তি করা হয়।
বেতাী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার পর পরই শিক্ষিকা আমার কাছে এসেছিল প্রয়োজণীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে আমি থানায় পাঠিয়েছি।’
গতকাল শুক্রবার জেলা পুলিশ সুপার বিজয় বসাক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেণ। এসময় তিনি বলেন, আসামিদের শিগগিরই গ্রেপ্তারের জন্য বেতাগী থানা পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বেতাগী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন অর রশিদ বলেন,‘ এ বিষয় থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’