আয়না২৪ প্রতিবেদন
নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইলে একই পরিবারের পাঁচজনকে হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি মাহফুজকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। আজ সোমবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ বেগম হোসনে আরা আকতারের আদালত এ রায় দেয়।
এর আগে সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মাহফুজকে আদালতে হাজির করা হয়। গত ৩০ জুলাই সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাহফুজের উপস্থিতিতে যুক্তিতর্ক শেষে আদালত রায় ঘোষণার এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওয়াজেদ আলী বলেন, আদালতের রায়ে মামি তাসলিমা বেগমকে হত্যার দায়ে মাহফুজকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আরেক রায়ে ওই পরিবারের লামিয়া, শান্ত, সুমাইয়া ও মোশারফ হোসেনকে হত্যার দায়ের মাহফুজকে পৃথকভাবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি আরও জানান, এই মামলায় মোট ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, বাদীসহ ২৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এই রায়ে খুশি।’ তিনি রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানান। নিহত তাসলিমা বেগমের মা মোর্শেদা বেগম বলেন, ‘আমাদের পুরো পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে মাহফুজ। দ্রুত ওর রায় কার্যকর করা হলে আমরা খুশি হই।’
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি রাতে শহরের বাবুরাইল এলাকা থেকে তাসলিমা (৩৫), তার ছেলে শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (৫), তাসলিমার ছোটভাই মোরশেদুল (২২) ও তার জা লামিয়ার (২৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পরদিন ১৭ জানুয়ারি সকালে নিহত তাসলিমার স্বামী শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ভাগ্নে মাহফুজ, ঢাকার কলাবাগানের নাজমা ও শাহজাহানের নাম উলেখ করে তাদেরকে সন্দেহ করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওইদিন রাতেই মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরদিন গ্রেফতার করা হয় শফিকুল ইসলামের ভাগ্নে মাহফুজকে। পরে ২১ জানুয়ারি আদালতে মাহফুজ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।