আয়না২৪ ডেস্ক
ভারতের ধর্ষক গুরু গুরমিত রাম রহিমকে জেল থেকে পালানোর চেষ্টায় সহায়তা করার অভিযোগে চার পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা কারাগারে গুরুর নিরাপত্তায় নিয়োজিত সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন রাজস্থানের। বাকি তিনজন উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য হরিয়ানার।
গত মাসে স্বঘোষিত আধ্যাত্মিক গুরু রাম রহিমকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয় ভারতের আদালত। খবর বিবিসির।
খবরে বলা হয়, পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এএস চাওলা বলেছেন, গ্রেপ্তারকৃতরা গুরু রাম রহিমের জেল থেকে পালানোর পরিকল্পনার অংশ। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানান নি তিনি।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আটককৃত পুলিশ সদস্যরা অনেক আগে থেকেই গুরুর ভক্ত। পঞ্চকুলার আদালতে রায়ের শুনানির সময়ও তারা গুরুর সঙ্গে ছিলেন। গত মাসে আধ্যাত্মিক গুরু রাম রহিমকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাকে এ সাজা দেয়া হয়।
রায় ঘোষণার পরে তার ভক্তরা পঞ্চকুলার রাস্তায় নেমে আসে। রাজ্যজুড়ে শুরু হয় সহিংসতা। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় ৩৮ জন নিহত হয়। রাম রহিম ভারতের উগ্র ধর্মীয় সম্প্রদায় ডেরা সাচ্চা সৌদার আধ্যাত্মিক গুরু। তিনি নিজেকে ‘গডম্যান’ হিসেবে প্রচার করতেন। হরিয়ানার সির্সায় তার আশ্রম।
সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে বেরিয়ে এসেছে তার আশ্রমের অজানা অনেক তথ্য। রীতিমতো আরেকটি শহর গড়ে তুলেছিলেন আশ্রমের মধ্যে। স্কুল, হাসপাতাল, খেলার মাঠ, সিনেমা হলসহ প্রয়োজনীয় সব কিছুই আছে তার মধ্যে। নারীদের সঙ্গে গুরুর একান্ত সময় কাটানোর জন্য আলাদা ভবনও রয়েছে আশ্রমের মধ্যে। সেখানে আবার সবার প্রবেশাধিকার নেই। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হয়ে সেখানে ঢুকতে হয়। বিশ্বজুড়ে প্রায় ৬ কোটি অনুসারী রয়েছে এ ধর্ষক গুরুর।
২৩ বছর বয়সে ডেরার ধর্মগুরু হন রাম রহিম। এ ডেরা অলাভজনক, জনকল্যাণমূলক ও আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত।