খুলনা প্রতিনিধি
খুলনায় দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফুলতলার সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান সরদার আলাউদ্দীন মিঠু নিহত হয়েছেন। এসময় তাঁর শ্বশুর সৈয়দ সেলিম ও দেহরক্ষী নওশের গাজী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আহত সেলিমকে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও নওশের গাজীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দেহরক্ষী নওশের গাজীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়,বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ফুলতলা উপজেলা সদরের দামোদরে মিঠুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স মিঠু এন্টারপ্রাইজে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ডিএসবি) আব্দুর রশিদ এ হত্যাকাণ্ডের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানায়, রাত ১০টার দিকে সরদার আলাউদ্দিন মিঠু, তার শ্বশুর সৈয়দ সেলিম ও দেহরক্ষী নওশের গাজীসহ কয়েকজন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে ছিলেন। এ সময় ৩-৪জন সন্ত্রাসী সেখানে ঢুকে মিঠুর মাথায় গুলি করে। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ সময় তাকে রক্ষা করতে গিয়ে তার শ্বশুর সৈয়দ সেলিম ও নওশের গাজী গুলিবিদ্ধ হন।
এর আগে ১৯৯৮ সালে নিহত মিঠুর পিতা দামোদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার আবুল কাশেম ও ২০১০ সালে তার বড় ভাই একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার আবু সাঈদ বাদল দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন।
এদিকে খুলনা মহানগর বিএনপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু এ হত্যাকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, ইতিপূর্বে তাঁকে কয়েকবার মিঠুকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। তার পিতা ও বড়ভাইকেও একইভাবে হত্যা করা হয়েছে।