• Home  / 
  • অপরাধ  / 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের জঙ্গি আস্তানায় ফের অভিযান শুরুঃ থেমে থেমে গুলি

এপ্রিল ২৭, ২০১৭
Spread the love
আয়না২৪ প্রতিবেদন
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের সেই জঙ্গি আস্তানায় ফের অভিযান শুরু হয়েছে। চলছে থেমে থেমে গুলি। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় অভিযানটি শুরু হয়।  এলাকায় বহাল আছে ১৪৪ ধারা। নিরাপত্তার কারণে সাংবাদিকসহ সকল শ্রেণির মানুষকে ঘটনাস্থল থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থলে প্রশাসনের বিভিন্ন ইউনিট সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বলেন, জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়িতে আজ সকালে ফের ‘ইগল হান্ট’ নামের অভিযান শুরু হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের ত্রিমোহিনী শিবনগর গ্রামের বাড়িটি থেকে গত রাতে ও আজ ভোরে কয়েক দফা গুলির শব্দ ভেসে আসে। সকাল নয়টার পর সেখান থেকে মুহুর্মুহু গুলির শব্দ আসে। অভিযান চালাকালে থেকে থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যায়।

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের এক কর্মকর্তা  বলেন, গতকাল বুধবার রাত নয়টার দিকে এই অভিযান স্থগিত করা হয়েছিল। আজ সকালে ফের অভিযান শুরু করা হয়।

ঘটনাস্থলে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল এসেছে। আছে সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট। এ ছাড়া  হরিজন সম্প্রদায়ের কয়েকজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে ঘটনাস্থলে ডাকা হয়েছে। জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে গতকাল ভোর থেকে বাড়িটি ঘিরে রাখে জেলা পুলিশ ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।

গতকাল সন্ধ্যার দিকে বাড়িটিতে জঙ্গিবিরোধী অভিযান শুরু করে সোয়াট। গতকাল সেখান থেকে মুহুর্মুহু গুলি ও কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। রাত নয়টার দিকে অভিযান স্থগিত করা হয়। আজ ভোরে ফের অভিযান চালানোর কথা জানানো হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জঙ্গি আস্তানা হিসেবে যে বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে, সেটি সাইদুর রহমান ওরফে জেন্টু বিশ্বাসের। একটি আমবাগানে বাড়িটির অবস্থান।বাড়িটিতে একই গ্রামের বাসিন্দা আবু (৩০) স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। তবে আবুর পরিবার ছাড়াও বাড়িতে আরও দুজন থাকতে পারেন বলে পুলিশের ধারণা।

বাড়িটির প্রায় আধা কিলোমিটার দূরেই আবুর নিজের বাড়ি। পরিবারের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় গত ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি সাইদুরের মালিকানাধীন বাড়িতে বসবাস করছেন বলে জানা যায়।

আবু ত্রিমোহিনী আলিয়া মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেছেন। স্থানীয় ৮-১০ জনের সঙ্গে চলাফেরা করতেন তিনি। অন্যদের সঙ্গে তেমন মিশতেন না। তাঁরা আলাদাভাবে নামাজ পড়তেন।