অায়না২৪ প্রতিবেদন
কুষ্টিয়া পৌরসভা ও ভেড়ামারা উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে দুই ডাকাত নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
পৃথক বন্দুক যুদ্ধে সোবহান আলী (৩৭) ও হাসানুজ্জামান লালন নামে (৩৫) দুই ডাকাত নিহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। দুটি ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি দেশীয় তৈরি পাইপগান, ১টি শার্টারগান, ৩ রাউন্ড গুলি, ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত করাত ও রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নুল আবেদীন জানান, বুধবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশ ও মডেল থানা পুলিশ বাড়াদীর ভাগারের গোরস্থান সংলগ্ন এলাকায় পৌছলে ডাকাত দল পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলে কুমারখালীর মনোহরপুর এলাকার নুর উদ্দিনের ছেলে ডাকাত সোবাহান আলী (৩৭) নিহত হয়। এ সময় তার সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। এ সময় মডেল থানার ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশীয় তৈরি শার্টারগান, ২ রাউন্ড গুলি ও করাত উদ্ধার করে।
তিনি আরো জানান, নিহত ডাকাত সোবাহানের বিরুদ্ধে কুমারখালী, রাজবাড়ী, ঈশ্বরদী ও কুষ্টিয়া সদর মডেল থানায় ৮টি মামলা রয়েছে।
অন্যদিকে কুষ্টিয়ার ভেড়ারামায় পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে হাসানুজ্জামান লালন (৩৫) নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার ভোরে ভেড়ারামার দশমাইলে একদল ডাকাত ডাকাতি করার সময় ভেড়ামারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে ওই ডাকাত নিহত হন।
পুলিশ জানায়, ডাকাত হাসানুজ্জামান মেহেরপুরের গাংনীর মনোহরদিয়া গ্রামের আলীম উদ্দিনের ছেলে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি শর্টারগান, এক রাউন্ডগুলি ও করাত উদ্ধার করে। বন্দুক যুদ্ধে ২ পুলিশ সদস্য আহত হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।