• Home  / 
  • অপরাধ  / 

কলেজছাত্রী হত্যাঃ আসামি আলমগীগের স্বীকারোক্তি আইনজীবী মাইনুলের রিমান্ড আবেদন

অক্টোবর ২৫, ২০১৭
Spread the love

আমতলী প্রতিনিধি 

বরগুনার আমতলী উপজেলায় চাঞ্চল্যকর কলেজছাত্রী মালা আক্তার (১৭) হত্যা মামলার প্রধান আসামি আলমগীর হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার আমতলী জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম  মো. হুমায়ূন কবিরের আদালতে এ স্বীকারোক্তি দেন।

এদিকে হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আলমগীরের ভাগ্নি জামাই স্থানীয়  আইনজীবী মাইনুল আহসান  তালুকদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে  এ ঘটনায় আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) নুরুল ইসলাম  বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো দুই জনসহ চারজনের নামে মামলা করেছেন।

পুলিশ মাইনুল আহসানকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আদালতের বিচারক রিমান্ড আবেদন শুনানির জন্য আগামী ৩১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন।

সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলার গুদিঘাটা গ্রামের মো. মান্নান হাওলাদারের কন্যা মালা আক্তারের সাথে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসন্ডা গ্রামের আবদুল লতিফ খানের ছেলে আলমগীর হোসেন পলাশ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। মালা সম্পর্কে আলমগীর হোসেন পলাশের মামাতো শ্যালিকা।

সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া অবস্থায় পলাশের সাথে মালার সম্পর্ক হয়। মালা কলাপাড়া মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। গত রোববার সন্ধ্যায় আলমগীর হোসেন মালাকে নিয়ে তার  আত্মীয় আইনজীবী মাইনুল আহসানের  বাসায় বেড়াতে আসেন।

তিন দিন ধরে আলমগীর  এ বাড়িতে অবস্থান করেন। মঙ্গলবার মালা  বিয়ে করার জন্য আলমগীরকে  চাপ দেয়। কিন্তু আলমগীর এতে রাজি হয়নি। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার দুপুরে আলমগীর মালাকে ধারালো অস্ত্র (বটি) দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর তার লাশ সাত টুকরো করে বারি গোসলখানায় দুটি ড্রামে লুকিয়ে রাখে।   ওই সময় ওই বাসায় কেউ ছিল না।

এ ঘটনায় সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে আইনজীবী মাইনুল আহসানকে  ওইদিন রাত সাড়ে ১০ টার দিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এর আগে সন্ধ্যায় আলমগীরকে  গ্রেপ্তার করা হয়।

আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুল ইসলাম  বাদী হয়ে ঘাতক আলমগীর হোসেন ও আইনজীবী মাইনুল আহসান  নাম উল্লেখ করে এবং দুজনকে অজ্ঞাত আসামি করে  চারজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নিহত মালার মামা হাবিব খান বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ লাশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। লাশ গুদিঘাটা গ্রামের নানার বাড়িতে দাফন করা হবে।

মামলার তদন্তকারী অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত  কর্মকর্তা মো. শহিদ উল্যাহ বলেন, আসামি আলমগীর হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।’’