আয়না২৪ প্রতিনিধি ঝালকাঠি
ঝালকাঠিতে উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান হোসেনের বিরুদ্ধে স্থানীয় এক প্রধান শিক্ষককে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই নারীসহ অন্তত তিন জন।
আহতরা হলেন- ঝালকাঠি সদরের গোবিন্দ ধবল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ মিয়া, কীর্তিপাশা বাজারের ব্যবসায়ী উত্তম দাস, তার বোন রীনা দাস এবং ভাইয়ের স্ত্রী অঞ্জণা দাস।
আহতদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ মিয়া এবং ব্যবসায়ী উত্তম দাসকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত শিক্ষক প্রধান শিক্ষক লতিফ মিয়া জানান- সোমবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড় থেকে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান হোসেন তাঁকে ধরে গাড়িতে তুলে কীর্তিপাশা বাজার এলাকায় নিয়ে যান।সেখানে স্থানীয় ব্যবসায়ী উত্তম দাসের দোকানে সামানে গাড়ি থামিয়ে তাঁকে (প্রধান শিক্ষক) ও উত্তমকে হকস্টিক দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিতে প্রভাব খাটাতে না পেরে তাঁদের ওপর এ হামলা চালানো হয় বলে প্রধান শিক্ষক লতিফ মিয়া অভিযোগ করেন।
ব্যবসায়ী উত্তম দাস বলেন, আমাকে মারধরের এক পর্যায় আমার বোন রীনা দাস এবং ভাইয়ের বউ অঞ্জণা দাস এগিয়ে এলে তাদের সুলতান হোসেন খানের লোকজন পিটিয়ে আহত করে। পরে আমাকে ও শিক্ষক আব্দুল লতিফকে গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে আসেন ।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান হোসেন খান বলেন- প্আরধান শিক্ষক আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়ায় ক্ষুব্ধ সমর্থকেরা এ কাণ্ড ঘটিয়েছে।
এ ব্যপারে ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. মাহে আলম বলেন, চেয়ারম্যান অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষক এবং উত্তম দাসসহ এলাকার একদল লোক চেয়ারম্যানকে হত্যার পরিকল্পনা করে। বিষয়টি জানতে পেরে এলাকার লোকজন লতিফ ও উত্তম দাসকে আটক করে থানায় আনে।
এ সংক্রান্ত কিছু মোবাইল ফোনের কথোপকথনও চেয়ারম্যান পুলিশকে দিয়েছেন। তাই এ ব্যপারে চেয়ারম্যানের পক্ষে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও রেকর্ড করা হয়েছে। ওিসি বলেন, শিক্ষক ও ব্যবসায়ী উত্তম দাসের ওপর হামলার অভিযোগটিও খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।