আয়না২৪ নিজস্ব প্রতিবেদক
অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা পপ তারকা আইয়ুব বাচ্চুকে মায়ের পাশেই কবর দেয়া হবে। আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম জানাজা শুক্রবার জুমার নামাজের পর অনুষ্ঠিত হবে। হাইকোর্ট-সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে এ জানাজা হবে। আর শনিবার তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
কিংবদন্তি ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চু আর নেই। বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাসায় হার্ট অ্যাটাক হলে অচেতন অবস্থায় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে আইয়ুব বাচ্চুর পরিবারের সাথে কথা বলে এই তথ্য জানান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু। তিনি জানান, আইয়ুব বাচ্চুর সন্তানরা দেশের বাইরে আছেন। তারা কাল শুক্রবার দেশে আসবেন। পরদিন বাচ্চুকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এদিকে, জানা গেছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শহিদ মিনারে আইয়ুব বাচ্চুর লাশ সবাই শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন।
মায়ের জন্য ঢাকার পুরানাপল্টন এলাকায় আলাদা বাসা নিয়েছিল। মাকে দেখাশোনা করার জন্য দু’জন লোক রাখা হয়েছিল। পরিবারের সদস্যদের জন্য তেমন কোনো অ্যাসেট রেখে যায়নি বাঁশি। সে সময় পেলেই ফ্লাইটে চট্টগ্রামে এসে মায়ের কবর জিয়ারত করে যেত।
কবরের পাশে গুনগুন করে মায়ের সঙ্গে কি যেন কথা বলত। মায়ের কবর দেখাশোনা করার জন্য জাফর নামে এক ব্যক্তিকে সব সময় ফোন দিত। আইয়ুব বাচ্চুর মামাতো বোন তানজিনা আক্তার যুগান্তরকে বলেন, বাচ্চু ভাইয়ার ব্যবহার ছিল অমায়িক। তিনি এত বড় স্টার হওয়ার পরও আমাদের সঙ্গে আচার-আচরণ করতেন সাধারণ মানুষের মতো। এক কথায় তার ব্যবহার ছিল অসাধারণ। আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর খবর শুনে মাদারবাড়ী এলাকার নানাবাড়িতে ভিড় জমান ভক্ত-শুভাকাক্সক্ষীরা। এ সময় অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস (ইন্না…রাজিউন) ত্যাগ করেন জনপ্রিয় ব্যান্ডদল এলআরবির এই অগ্রপথিক। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট দেশের জনপ্রিয় এই শিল্পী চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় আইয়ুব বাচ্চুর। সকাল ৯টার দিকে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।