আয়না২৪ প্রতিবেদক
পিরামিডের জন্য বিখ্যাত প্রাচীন মিসরকে নিয়ে রহস্যের শেষ নেই। সভ্যতার পাদপীঠ মিশরে একের পর এক আবিষ্কৃত হয়েছে নতুন প্রত্নক্ষেত্র। যা এই দেশের প্রাচীন সভ্যতা সম্পর্কে কৌতূহলী মানুষদের। আবার এসব আবিষ্কার তৈরি করেছে নতুন নতুন বিষ্ময়। এ জন্য গেল ২০১৮ সাল জুড়েই সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে মিসর নামে এই কৌতূহল উদ্দীপক দেশটি।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, সম্প্রতি প্রত্নতাত্ত্বিকরা রাজধানী কায়রো নগরের দক্ষিণ দিকে সাক্কারা নামে একটি রহস্যময় প্রাচীন সমাধিক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছেন। সমাধিক্ষেত্রটি পর্যবেক্ষণের পর দেশটির সুপ্রিম কাউন্সিল অফ অ্যান্টিকুইটিজের সেক্রেটারি জেনারেল মুস্তফা ওয়াজিরি জানিয়েছেন, এই সমাধিটি একেবারেই অবিকৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।মুস্তফার মতে, এমন রহস্যময় সমাধি গত কয়েক দশকে মিসরে আর দ্বিতীয়টি পাওয়া যায়নি।
কাঁর মতে, সমাধি প্রায় ৪৪০০ বছরের পুরনো। এটি মিশরের পঞ্চম রাজবংশের তৃতীয় সম্রাট নেফেরিরকারে কাকাইয়ের সমকালীন।
গেল বৃহস্পতিবার প্রত্নবিদরা যখন সমাধিটির ভেতরে প্রবেশ করেন, তখন দেখেন সেখানে হায়ারোগ্লিফিক লিপিতে বেশ কিছু লেখা রয়েছে । সেখানে আছে বেশ কিছু মূর্তি। আর প্রায় সাড়ে চার হাজার বছরেও অমলিন আছে সে সব লিপি এ মূর্তির ঔজ্জল্য।
আ রো পড়ুন….মহাপ্রাচীরের গল্প
সমাধিক্ষেত্রের ভেতরে পাঁচটি কুঠুরিরও সন্ধান পান প্রত্নবিদেরা। এর চারটি কুঠুরেই সিলমোহর করে বন্ধ করা অবস্থায় রয়েছে।প্রত্নবিদেরা ধারনা করেছিলেন, এসব কুঠুরি খুললে অমূল্য কিছুর সন্ধান পাবেন তাঁরা।
এমন কৌতূহল নিয়েই গত শনিবার একটি কুঠুরির সিলমোহর খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। প্রবেশ করে সেখানে তাঁরা একটি শবাধার পান। তবে সেই শবাধারটিরও রং, নকশা এবং আকার ছিল আশ্চর্য রকমের টাটকা ও উজ্জ্বল । মিশরের প্রত্নমন্ত্রী খালেদ এল এনানি জানান, এটা ২০১৮-এর সেরা আবিষ্কার। তিনি ধারণা করে বলেন, এই শবাধার ও মমিটি সম্রাট নেফেরিরকারে কাকাইয়ের প্রধান পুরোহিতের।
আরো পড়ুন….দুনিয়া পাল্টে দেওয়া দার্শনিক অ্যারিস্টটল
মিসরের এযাবৎকালের সবচেয়ে বিষ্ময়কর এই সমাধিক্ষেত্র আবিষ্কার নিয়ে তুমুল হইচই শুরু হয়েছে প্রত্নতাত্ত্বিক মহলে। এখন প্রত্নতাত্ত্বিকরা চেষ্টা করছেন ওই সমাধির লিপিগুলোর পাঠোদ্ধার করতে।