• Home  / 
  • জাতীয়  / 

বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট এর সফল উৎক্ষেপণঃ মহাকাশে বাংলাদেশ (ভিডিওসহ)

Spread the love

ইসলাম রাকিব

পৃৃথিবীতে স্যাটেলাইট ক্ষমতাধর দেশ হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশের নাম ৫৭তম দেশ হিসেবে অর্ন্তভূক্ত হওয়ার আনন্দে ভাসছে গোটা বাঙালী জাতি। গতকাল  শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতের নির্ধারিত সময়ে (বাংলাদেশ সময় রাত ০২ টা ১৪ মিনিটে) বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট এর সফল উৎক্ষেপণ করা হয়।

https://www.youtube.com/watch?v=YJyx-JXh1N8

২০১৫ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’  বা কৃত্রিম উপগ্রহটি নির্মাণের চুক্তির পর কথা ছিলো ২০১৭ সালেই এই স্যাটেলাইটটি  মহাকাশে পৌঁছাবে। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়া আর নানা কারিগরি জটিলতার কারণে যথা সময়ে এটা উৎক্ষেপণ করা যায়নি। তারপর ছয় বার উৎক্ষেপণের তারিখ পরিবর্তন করতে হয়েছে।  শেষ পর্যন্ত  ১১ মে বাংলাদেশে স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু নামে এই স্যাটেলাইটটি মহাকাশে যাত্রাসম্পন্ন করে  উৎক্ষেপণের দায়িত্ব পাওয়া মার্কিন প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স অধীনে।

 স্যাটেলাইটটির আদ্যোপান্ত  
১৯৭৫ সালের ১৪ জুন। স্বাধীন বাংলাদেশে চট্টগ্রামের বেতবুনিয়ায় দেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ মহাকাশজয়ের সূচনা করেন স্বাধীন এই দেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু। কিন্তু সে বছর ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে কাঁকে  স্বপরিবারে হত্যা করা হল। এর পর এই যাত্রাও থেমে যায়। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে তৎকালীন সরকার থমকে যাওয়া মহাকাশ জয়ের স্বপ্নের সেই যাত্রার প্রাথমিক কাজ শুরু করলেও ২০০১ সালে সরকার বদলে তা আবার স্তিমিত হয়ে পড়ে। এরপর  ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে  দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার সরকার অবশেষে বাংলাদেশের মহাকাশ যাত্রার স্বপ্ন পূরণে পুনরায় উদ্যোগ নেয়।  

নির্মাণ ও চুক্তি
২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর মাস।  ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেসের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ সরকার । সরকারের করা সেই  চুক্তি অনুযায়ী, স্যাটেলাইটের কাঠামো, উৎক্ষেপণ-ব্যবস্থা, ভূমি ও মহাকাশের নিয়ন্ত্রণ-ব্যবস্থা, ভূ-স্তরে দুটি স্টেশন পরিচালনা সহায়তা ও ঋণের ব্যবস্থা করে ফ্রান্সের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।  ফ্রান্সের থুলুজে স্যাটেলাইটটির মূল কাঠামো তৈরিরেআশ্বাস দেয় থ্যালেস নামে সংস্থাটি।


বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট প্রকল্প নামে এই স্বপ্নের প্রকল্পটি  বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে দুই  হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা ঋণ বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকারের। এই ঋণ দিচ্ছে বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি।

যেভাবে কেনা হয় কক্ষপথ
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের জন্য  এবং তা কক্ষপথে রাখতে রাশিয়ার ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে কক্ষপথ (অরবিটাল স্লট) কেনা হয়। মহাকাশে এই কক্ষপথের অবস্থান হবে ১১৯ দশমিক ১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। ২০১৫ সালে জানুয়ারি মাসে সম্পাদিত চুক্তির মাধ্যমে প্রায় ২১৯ কোটি টাকায় ১৫ বছরের জন্য এই কক্ষপথ কেনা হয় স্যাটেলাইটির অবস্থানের জন্য।

পরিচিতি
‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ নামে  কৃত্রিম এই উপগ্রহটি একটি ভূস্থির উপগ্রহ। এতে ২৬ কু-ব্যান্ড এবং ১৪ সি-ব্যান্ড মিলিয়ে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকছে। এর ২০টি ট্রান্সপন্ডার রাখা হবে  বাংলাদেশে ব্যবহারের জন্য।  বাকি ২০টি বিদেশি যে কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে।’  স্যাটেলাইটটি মহাকাশে উৎক্ষেপণের জন্য সব প্রক্রিয়া দেশের বাইরে সম্পন্ন করা হলেও গাজীপুরের জয়দেবপুর ও  রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় দুটি গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
মহাকাশে উৎক্ষেপণের পরেএটি পরিচালনা, সফল ব্যবহার ও বাণিজ্যিক কার্যত্রমের জন্য এরইমধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড’ নামে একটি পৃথক কোম্পানি গঠনও করা হয়েছে।  দেওয়া হয়েছে নতুন এই কোম্পানিতে কারিগরী লোকবল নিয়োগ এবং তাদের প্রশিক্ষণ। হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নামে  নির্মাণ করা স্যাটেলাইটি  এবছরের ৩০ মার্চ একটি বিশেষ উড়োজাহাজে উৎক্ষেপণকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। মার্কিন রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স এই স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরালে কেনেডি স্পেস স্পেসএক্সের লঞ্চ প্যাড থেকে নিয়ে থেকে স্যাটেলাইটটি মহাকাশে উড্ডযন করবে ফ্যালকন নাইন।’ নামে ‘রকেট।

ফ্যালকন নাইন রকেটের ‘স্ট্যাটিক ফায়ার টেস্ট’ সম্পন্ন করেছে স্পেসএক্স। ৫ মে নিজস্ব টুইটার পেজে এমন তথ্য দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

বার্তায় বলা হয়: বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহটি আগামী সপ্তাহে উৎক্ষেপণের জন্য ফ্যালকন ৯ ব্লক ৫ স্ট্যাটিক ফায়ার টেস্ট এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাহনটি যাত্রার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত এবং ভালো অবস্থায় আছে। তবে এর পরীক্ষার ডেটা পর্যালোচনা করতে আরো কয়েকদিন লাগবে। এটা শেষ হলেই উৎক্ষেপণের দিন-ক্ষণ নিশ্চিত করা হবে।

 এ উপলক্ষে উৎসবের আয়োজন  
বাংলাদেশের নিজস্ব প্রথম উপগ্রহটি উৎক্ষেপণের সময়কে স্মরণীয় রাখতে এর সফল উৎক্ষেপণের পর রাজধানী ঢাকার উল্লেখযোগ্য এলাকায় আতশবাজি উৎসব হবে। থাকবে ডিজিটাল আলোকসজ্জার ব্যবস্থা। একই সঙ্গে দেশের সব জেলায় এ উপলক্ষে হবে উৎসব । সব মিলে অনুষ্ঠান আয়োজনে ১৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। তবে এর অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হলে বিটিআরসি থেকে সহায়তা নেওয়া হবে।  এ উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করবে  ডাক অধিদপ্তর।

ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেসের কারখানায় তৈরি হয় বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট। ছবি: থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেসএই ‘ফ্যালকন-৯’ রকেটে করেই যাত্রা করবে স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১। ছবিটি স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্কের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে  নেওয়া।স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের (প্যাড) হ্যাঙ্গারে নেওয়া হচ্ছে। ছবিটি আলোকচিত্রী ব্র্যাডি কেনিস্টনের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া।উৎক্ষেপণের জন্য দাঁড় করানো হয়েছে রকেটটিকে। ছবিটি আলোকচিত্রী ব্র্যাডি কেনিস্টনের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া।পুরোপুরি প্রস্তুত বঙ্গবন্ধু-১। ছবিটি আলোকচিত্রী ব্র্যাডি কেনিস্টনের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া।জনগণের চোখ এখন ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারের দিকে। ছবিটি আলোকচিত্রী ব্র্যাডি কেনিস্টনের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া।বঙ্গবন্ধু-১ সফলভাবে মহাকাশে পৌঁছালে বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হবে বাংলাদেশ। ছবিটি আলোকচিত্রী ব্র্যাডি কেনিস্টনের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া।বাংলাদেশের গাজীপুরে গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন। এখান থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে স্যাটেলাইট।

   যেসব সুফল    

 দেশের প্রথম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু-১  নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। সফলভাবে মহাকাশে গেলে বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হবে দেশটি। কিন্তু অনেকের মনে প্রশ্ন  , প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে তৈরি এই উপগ্রহ  বাংলাদেশের মানুষ আসলে কী সুবিধা পাবে?েএর থেকে তিন ধরনের সুবিধা পেতে পারে  দেশের মানুষ। প্রথমত, এ উপগ্রহ সক্ষমতা বিক্রি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় ও সাশ্রয়—হবে। দ্বিতীয়ত, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবার সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তৃতীয়ত, যে কোনো দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলা ও দুর্যোগ বস্থাপনায় দারুণ র ভূমিকা রাখবে এই  কৃত্রিম উপগ্রহ। এ ছাড়াও জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে উপগ্রহটি।

তবে এসব উপকার ছাড়াও  যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়, সেটি হলো  বাংলাদেশের ভাবমূর্তি। বঙ্গবন্ধু-১ উপগ্রহের মাধ্যমে এর প্রযুক্তি অভিজাত দেশের ক্লাবে বাংলাদেশ প্রবেশ করারে এই পদক্ষেপ। বঙ্গবন্ধু-১ তৈরির ঘোষণা দেওয়ার  পর পরই দেশের বেমরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্র্যাক ন্যানো স্যাটেলাইট প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরু করে। ব্র্যাক অন্বেষা নামের  ন্যানো স্যাটেলাইটটি তৈরি করেছেন এ দেশেরই কয়েকজন তরুণ উদ্ভাবক। বিশ্ববিদ্যালয়টির কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চারজন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্পে কাজও করছেন। কাজ করা এই  তরুণেরা বলছেন, সরকারের দিক থেকে কিছুটা সহযোগিতা পেলে ২০২১ সালের মধ্যে আমাদের দেশেই উপগ্রহ তৈরি করা সম্ভব। তাঁদের মতে, নিজেদের উপগ্রহ তৈরি হওয়ার কারণেই তাঁরা এমন বড় স্বপ্ন ও চিন্তাভাবনা করতে উৎসাহ পেয়েছেন। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন,   বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের  বিক্রয়যোগ্য আরেকটি পণ্য হবে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) বলছে, বঙ্গবন্ধু-১ উপগ্রহে মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডারের মধ্যে ২৬টি কেইউ-ব্যান্ড ও ১৪টি সি-ব্যান্ড রয়েছে। এর প্রতিটি ট্রান্সপন্ডার থেকে ৪০ মেগাহার্টজ হারে তরঙ্গ বরাদ্দ (ফ্রিকোয়েন্সি) সরবরাহ পাওয়া সম্ভব। সেই হিসাবে ৪০টি ট্রান্সপন্ডারের মোট ফ্রিকোয়েন্সি ক্ষমতা হলো ১ হাজার ৬০০ মেগাহার্টজ। কারিগরি সীমাবদ্ধতার কারণে এই ১ হাজার পুরোটা ব্যবহার করা হয়তো  যাবে না। তবে এরমধ্যে কমপক্ষে ১ হাজার ৪০০ মেগাহার্টজ ক্ষমতার ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করা যাবে।

তবে হতাশার কথা হলে এখন দেশে স্যাটেলাইটের ব্যান্ডউইডথ ও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে যে ইন্টারনেট পাওয়া যাবে, তা  হবে বেশ  ব্যয়বহুল। আগে ফাইবার অপটিক দিয়ে সরবরাহ করা ব্যান্ডউইডথের তুলনায়েউপগৃহ নিয়ন্ত্রিত ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের ব্যয় প্রায় ১০০ গুণ বেশি। দেশের ৭৫০ টি ইউনিয়নে এখন ফাইবার অপটিক ইন্টারনেটের সংযোগ নেই। দেশে  ইন্টারনেটবঞ্চিত এমন এলাকার মধ্যে পার্বত্য ও হাওর অঞ্চল অন্যতম। যদি সরকার এই খাতে বিশেষ প্রণোদনা  ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেয় তরে নতুন উক্ষেপিত এই  উপগ্রহ বা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এসব প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব।

এর বড় সুবিধা হলো প্রাকৃতিক তৃর্যোগ বা ঝড় বা বড় ধরনের  দুর্যোগ হলে যোগাযোগব্যবস্থা সচল রাখতেও এটি বেশ  কার্যকর ভূমিকা রাখতে। আমাদের দেশে এ ধরনের বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে মোবাইল নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে। তখন এই উপগ্রহ বা  স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা সচল  রাখা যাবে। এছাড়া সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলের মানুষের ইন্টারনেট ও ব্যাংকিং সেবা, টেলিমেডিসিন ও দূরনিয়ন্ত্রিত শিক্ষাব্যবস্থা প্রসারেও ব্যাপক ভূমিকার রাখবে কৃত্রিম উপগ্রহ-বঙ্গবন্ধু-১। 

উৎক্ষেপণের পর মুহূর্ত থেকে এ স্যাটেলাইটের মেয়াদ থাকবে ১৫ বছর। সময়ক্ষেপণ করা হলে বাংলাদেশের মানুষের কষ্টার্জিত অর্থে তৈরি এ স্যাটেলাইটের উদ্দেশ্য পূরণে কঠিন হবে।

https://video.search.yahoo.com/yhs/search?fr=yhs-iba-1&hsimp=yhs-1&hspart=iba&p=বঙ্গবন্ধু+স্যাটেলাইট-১#id=1