চোখের ছানি পরা রোগটি কি শুধু বয়স্কদেরই হতে পারে?

অক্টোবর ৩০, ২০১৮
Spread the love

আয়না২৪ ডেস্ক 

চোখের লেন্স ঘোলাটে হয়ে যাওয়ার নাম হলো ছানি পড়া। ইংরেজিতে একে ক্যাটারেক্ট বলা হয়। আমরা অনেকেই ধারণা করে থাকি যে বুড়ো হলেই চোখে ছানি পড়ে। আর এ রোগটা শুধু বয়স্কদেরই রোগ এমনটা জানি। আসলে তা ঠিক নয়।  এই ছানিপড়া সম্পর্কে আমাদের কমবেশি ভুল ধারণা আছে।

ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের অপেক্ষাকৃত কম বয়সে ছানি হতে দেখা যায়। এমনকি ছানি হতে পারে ছোটদেরও। গর্ভবতী মায়ের কিছু জীবাণু সংক্রমণ হলে সন্তানের চোখে ছানি থাকতে পারে জন্ম থেকেই। গর্ভবতী মায়ের গর্ভধারণের তিন মাসের মধ্যে এক্স-রের মতো কোনো বিকিরণ রশ্মির সংস্পর্শে এলেও গর্ভের সন্তানের জন্মগত ছানির ঝুঁকি থাকে। ছোটদের বা বড়দের চোখে মারাত্মক আঘাত থেকে ছানি হতে পারে। ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করেন কিংবা বিকিরণ এলাকায় কাজ করেন, এমন ব্যক্তির ছানি হওয়ার ঝুঁকি যেকোনো বয়সে।

ছানি পড়ার কারণঃ

বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে লেন্সের উপাদান প্রোটিন ভেঙ্গে যেতে থাকে এবং লেন্সটিকে অস্বচ্ছ করে দেয়। এই প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে ডায়বেটিস, পারিবারিক ইতিহাস, চোখে প্রদাহ, আঘাত, ধুমপান, স্টেরয়েড এর ব্যবহার ইত্যাদি। তবে শুধু বয়স্কদেরই যে ছানি পড়ে তা নয়, জন্মের সময় অনেক বাচ্চা চোখে ছানি নিয়ে জন্মাতে পারে।

উপসর্গঃ

১) দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়া। (এটি লেন্স কতটুকু ঘোলা হয়েছে তার উপর নির্ভর করে)

২) রাতে কম দেখা।

৩) আলোর দিকে তাকালে রঙিন আলোকছটা দেখা।

৪) একটি জিনিসকে দুইটি দেখা।

৫) চশমার পাওয়ার বারবার পরিবর্তিত হওয়া।

হাইপারম্যাচুর ক্যাটারাক্ট বা ছানি পেকে গেলে সেকেন্ডারি গ্লুকোমা সৃষ্টি হয়, এর ফলে চোখে তীব্র ব্যাথা , পানি পড়া ,চোখ লাল এমনকি অন্ধ হয়ে যেতে পারে।

সঠিক সময়ে অস্ত্রোপচার করানো সত্ত্বেও অবশ্য শুধু কাছের জিনিস দেখার জন্য চশমা ব্যবহার করতে হতে পারে। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত জটিলতা এড়াতে অস্ত্রোপচারে অবহেলা করা যাবে না কোনোভাবেই। অবশ্য আজকাল অস্ত্রোপচারে উন্নতমানের লেন্স ব্যবহার সাপেক্ষে অস্ত্রোপচার–পরবর্তী সময়ে চশমার আর প্রয়োজন পড়ে না। তবে সেটি বেশ খরচসাপেক্ষ।