আয়না ২৪ ডেস্ক
রাশিয়ার বিমানবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একই সঙ্গে মহড়া শুরু করার জন্য সামরিক বাহিনীকে নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্গেই শোইগু জানিয়েছেন, ‘স্ন্যাপ চেক বা মহড়ার জন্য সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে করে বোঝা যাবে যুদ্ধের জন্য বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত আছে কি না। একই সঙ্গে যুদ্ধকালীন ব্যবস্থা ঠিক আছে কি না, তাও দেখা হবে”।
প্রস্তুতি এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্গেই শোইগু জানিয়েছেন, বিমানবাহিনীর মহড়া বা ‘স্ন্যাপ চেক’ শুরু হয়ে গেছে। একই সঙ্গে সেনাসদস্যরাও যুদ্ধকালীন প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেছে।
যুদ্ধকালীন মহড়ার ঘোষণা রাশিয়া এমন সময় দিল, যখন অন্যান্য শক্তির সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মি: পুতিনের সম্পর্ক ভালো মনে করা হলেও বিশ্বের কয়েকটি দেশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে টানাপোড়েন রয়েছে। এমনকি নেটোভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গেও রাশিয়ার সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে সম্প্রতি।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর সম্প্রতি রাশিয়া তার সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করছে। ২০১৭ সালে সামরিক বাহিনীর পরিসর বড় করার যে পরিকল্পনা রাশিয়ার তাও তারা প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে রাশিয়া সমরাস্ত্রও বাড়াচ্ছে।
যুদ্ধবিমানের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটানোর ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। দেশটির দাবি, শব্দের চেয়ে দ্রুতগামী নিঃশব্দ বোমারু বিমানগুলো মহাশূন্য থেকে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করতে পারবে। শুধু তাই নয়, দুই ঘণ্টার মধ্যেই পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে হামলা চালাতে পারবে!
রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ বিষয়ক আন্দোলনের ওয়েবসাইট ‘সায়েন্স বফিনস’ এই তথ্য জানিয়েছে।
সায়েন্স বফিনস জানায়, সাম্প্রতিকতম প্রযুক্তির রাশিয়ার উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বোমাগুলো প্রয়োগের জন্য তৈরি। রাশিয়ার প্রধান পরমাণুবিজ্ঞানীর বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ভ্লাদিমির পুতিনের হাইপারসনিক পিএকে-ডিএ জেট তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এই বিমানগুলো পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় দুই ঘণ্টার মধ্যে হামলা চালাতে পারবে।
রাশিয়ার এই বিমানগুলো শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ গতিসম্পন্ন, যা পশ্চিমা সেনাদের উদ্বিগ্ন করতে যথেষ্ট বলে উল্লেখ করেছে বিজ্ঞানবিষয়ক ওয়েবসাইটটি। শুধু তাই নয়, এত দ্রুতগতির বিমানগুলোতে বিশেষ ধাতু ব্যবহার করা হয়েছে। যা ১৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা দীর্ঘক্ষণ সহ্য করতে পারে।
হাইপারসনিক বিমান তৈরির বিশেষ ধাতুর নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে বিমান তৈরিতে বিশেষ ধাতুর পাশাপাশি কার্বন ফাইবার ব্যবহারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ওই বিশেষ ধাতুটি নিয়ে পর্যায়ক্রমিকভাবে পরীক্ষার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।