আয়না২৪ সংবাদদাতা
চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে ইলিশের ছড়াছড়ি। তবে অনেক ইলিশ মাছ একেবারেই খাবার অনুপযোগী। যার জন্যে মৎস্য ব্যবসায়ীরা ভিন্ন জেলা থেকে লোক ভাড়া করে চাঁদপুর মাছঘাটে এনেছে পচা ইলিশ মাছ কেটে লবণজাত করার জন্যে। প্রতিদিন এরা শত শত মণ পচা ইলিশ মাছ কেটে লবণ দিচ্ছে। আর এ পচা ইলিশ লবণজাত করতে মাছ কাটার সময় মাছের ভেতর থেকে ডিম ছাড়িয়ে আলাদা করতে দেখা যায়। এসব ইলিশের ডিম বড় সাইজের প্লাস্টিকের বাক্সভর্তি করে। যাতে নষ্ট হয়ে না যায়। সেজন্যে বরফের মাঝে রেখে দেয়া হচ্ছে।
ক’জন মাছ ব্যবসায়ীর সাথে আলাপ করলে তারা জানান, ইলিশের মূল্য কম থাকলে ডিমের দাম অনেক বেশি। যে ইলিশ মাছ ৫শ’ থেকে এক/দেড় হাজার টকায় কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে, সেসব ইলিশের ডিম বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকা কেজি দরে।
ডিম প্রক্রিয়াজাতকারক ও বিক্রেতা আজাদ হোসেন বলেন, কয়েক বছর ধরে স্থানীয় ও চট্টগ্রামের কিছু ব্যবসায়ী ইলিশের ডিম চাঁদপুর থেকে প্রক্রিয়াজাত করে ট্রেনে করে প্রথমে চট্টগ্রাম নিয়ে বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে দিচ্ছেন। সেখান থেকে এসব ডিম বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। আড়াই কেজি করে ইলিশের ডিম প্রতিটি বাক্সে ভর্তি করার পর বরফজাত করা হয়। পরে ককশিটের ভেতর ঢুকিয়ে চট্টগ্রাম পাঠানো হয়। আর এসব ইলিশ ও ডিম ছাড়ানোর জন্য ময়মনসিংহ, জামালপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে চুক্তিতে শত শত শ্রমিক দিনরাত কাজ করছেন। লোনা ইলিশ মণ হিসেবে ১২ হাজার টাকায় এবং ইলিশের ডিম কেজি ১ হাজার ২০০ টাকায় পাইকারি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এক মণ ইলিশে প্রায় পাঁচ কেজি ডিম পাওয়া যায়। ডিমওয়ালা নরম ইলিশ ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা পাইকারি দামে বিক্রি হয়।
জানা যায়, চাঁদপুর মাছঘাট থেকে ইলিশের ডিম চট্টগ্রামে নেয়া হলে তা মিয়ানমার, বার্মা পর্যন্ত চলে যায়। এমনকি বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলকা দিয়ে এ ইলিশের ডিম ভারতে পাচার করা হয়। ইলিশের ডিম প্রক্রিয়াজাত করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানী করার কারণে সেসব দেশে বাংলাদেশের রূপালী ইলিশের রাজধানী বলে খ্যাত চাঁদপুরের সুনাম রয়েছে।